রাজশাহীর সেই এসআইয়ের স্ত্রীর শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন

Passenger Voice    |    ০১:৩৬ পিএম, ২০২১-১২-১২


রাজশাহীর সেই এসআইয়ের স্ত্রীর শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন

রাজশাহীতে পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়া এসআইয়ের স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে এইড ফর মেন ফেডারেশন নামে একটি সংস্থা। তারা ঘটনাটিকে পুরুষের প্রতি যৌন সহিংসতা বলে মনে করছে। 
আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে এইড ফর মেনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর মালোপাড়ায় একজন  এসআইয়ের পুরুষাঙ্গ কেটেছেন তার স্ত্রী। ওই এসআই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই এসআইয়ের স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে।

তিনি বলেন, পত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য মতে ওই এসআইয়েরে স্ত্রী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং  এসআইয়ের স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সংস্থার আইন বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ১৬ নং অধ্যায়ে মানবদেহ সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে উল্লেখ করা আছে। উক্ত অধ্যায়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা নামে সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধ আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা নেই। তবে উক্ত অধ্যায়ের ৩২০ ধারার গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, যার মধ্যে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা অপরাধটি অন্তর্ভুক্ত করা যায়। ৩২০ ধারায় উল্লেখিত গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় যে, আট ধরনের আঘাতকে গুরুতর আঘাত হিসেবে গণ্য হবে। ওই আট ধরনের আঘাতের মধ্যে ১, ৪ ও ৫ নং শ্রেণির আঘাতের সবগুলো বা যে কোনো এক শ্রেণির আঘাত পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে, বিধায় দণ্ডবিধির ৩২০ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অপরাধ একটি মারাত্মক আঘাতের অপরাধ। এর শাস্তির ৩২৫ ও ৩২৬ ধারায় দেওয়া আছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেনের ঢাকা জেলার আহ্বায়ক হাদিউজ্জামান পলক। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খালিদ মাহমুদ তন্ময়, ঢাকা জেলার যুগ্ম-আহবায়ক রহমান নূর, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।